আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ইমাম যিম্মাদার এবং মুয়াযযিন আমানতদার।
(আল্ল-হুম্মা র্আশিদিল্ আইম্মাতা ওয়াগ্ফির লিল মুওয়ায্যিনীন) ‘হে আল্লাহ! তুমি ইমামদের সঠিক পথ প্রদর্শন কর এবং মুয়াযযিনদের ক্ষমা কর’ (ছহীহ আবুদাউদ হা/৫১৭ সনদ ছহীহ; মিশকাত হা/৬৬৩)। তাকবীরে তাহরীমার পর পঠিত দো‘আ সমূহ (১) আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) তাকবীরে তাহ্রীমা এবং ক্বিরাআতে মধ্যবর্তী সময়ে কিছু সময় চুপ থাকতেন। আমি একবার বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! আমার পিতা-মাতা আপনার উপর কুরবান হউক, আপনি যে তাকবীর ও ক্বিরাআতের মাঝে চুপ থাকেন, তখন কি বলেন? তিনি বললেন যে, আমি তখন বলি,
উচ্চারণ : আল্ল-হুম্মা বা-‘ইদ বাইনী ওয়া বাইনা খাত্ব-ইয়া-ইয়া কামা বা-‘আত্তা বাইনাল মাশ্রিক্বি ওয়াল মাগরিব। আল্ল-হুম্মা নাক্বক্বিনী মিনাল খাত্ব-ইয়া কামাইয়ূনাক্বক্বাছ ছাওবুল আব্ইয়াযু মিনাদ দানাস। আল্ল-হুম্মাগ্সিল খাত্ব-ইয়া-ইয়া বিলমা-য়ি ওয়াছ ছালজি ওয়াল বারাদ। অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমার ও আমার পাপ সমূহের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করে দাও, যেরূপ তুমি দূরত্ব সৃষ্টি করেছ পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে। হে আল্লাহ! তুমি আমাকে আমার পাপসমূহ হ’তে পরিচ্ছন্ন কর, যেরূপ পরিচ্ছন্ন করা হয় ময়লা থেকে সাদা কাপড়কে। হে আল্লাহ! তুমি আমার পাপসমূহ ধুয়ে ফেল পানি, বরফ ও শিশির দ্বারা’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত, পৃঃ ৭৭, হা/৮১২ ‘তাকবীরের পর কি বলবে’ অনুচ্ছেদ)। (২) আলী (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) যখন ছালাত শুর“ করতেন, তখন তাকবীরে তাহ্রীমার পর বলতেন,
উচ্চারণ : ওয়াজ্জাহতু ওয়াজ্হি-য়্যা লিল্লাযী ফাত্বরাস সামা-ওয়াতি ওয়াল আরয়¦া হানীফাওঁ ওয়ামা- আনা মিনাল মুশরিকীনা। ইন্না- স্বলা-তী ওয়ানুসুকী ওয়া মাহ:ইয়া-য়্যা ওয়া মা-মাতী লিল্লা-হি রব্বিল ‘আলা-মীন, লা-শারীকালাহূ, ওয়া বিযা-লিকা উমিরতু ওয়া আনা মিনাল মুসলিমীন। আল্ল-হুম্মা আংতাল মালিকু লাইলা-হা ইল্লা- আংতা, আংতা রব্বী ওয়া আনা ‘আব্দুকা য:ালামতু নাফ্সী ওয়া‘তারফ্তু বিযাম্বী ফার্গ্ফিলী যুনূবী জামী‘আ। আন্নাহূ লা ইয়াগফির“য যুনূবা ইল্লা- আংতা, ওয়াহ্দিনী লি আহ:সানিল আখলা-ক্ব, লা-ইয়াহ্দী লিআহ্:সানিহা ইল্লা- আংতা ওয়াস্ব্রিফ্ ‘আন্নী সাইয়িআহা- লা- ইয়াস্ব্রিফু আন্নী সাইয়িআহা ইল্লাআংতা, লাব্বাইকা ওয়া সা‘আদাইকা ওয়াল খইর“ কুল−ুহূ বিইয়াদাইক, ওয়াশ্শারর“ লাইসা ইলাইকা আনা-বিকা ওয়া ইলাইকা, তাবা-রাক্তা ওয়া তা-‘আলাইতা আস্তাগ ফির“কা ওয়া আত‚বু ইলাইকা। অর্থ : ‘আমি আমার মুখমন্ডল ফিরাচ্ছি তাঁর দিকে, যিনি আসমান ও যমীনসমূহ সৃষ্টি করেছেন। আমি মুশরিকদের অন্তভূক্ত নই। নিশ্চয়ই আমার ছালাত, আমার ইবাদত বা কুরবানী, আমার জীবন, আমার মরণ আল্লাহর জন্য। তাঁর কোন শরীক নেই। আর এ জন্যই আমি আদিষ্ট হয়েছি এবং আমি মুসলমানদের অš—র্ভুক্ত। হে আল্লাহ! তুমিই বাদশাহ, তুমি ব্যতীত কোন মা‘বূদ নেই। তুমি আমার প্রভ্,ু আর আমি তোমার দাস। আমি আমার উপর যুলম করেছি। তাই আমি আমার অপরাধ স্বীকার করছি। সুতরাং তুমি আমার সমস্ত অপরাধ ক্ষমা কর। নিশ্চয়ই তুমি ব্যতীত অন্য কেউ অপরাধ ক্ষমা করতে পারে না। আর আমাকে চালিত কর উত্তম চরিত্রের পথে, তুমি ব্যতীত অন্য কেউ উত্তম চরিত্রের পথে চালিত করতে পারে না। তুমি দূরে রাখ আমা হ’তে মন্দ আচরণকে, তুমি ব্যতীত অন্য কেউ আমাকে তা হ’তে দূরে রাখতে পারে না। হে আল্লাহ! আমি উপস্থিত আছি তোমার নিকটে এবং প্রস্তুত আছি তোমার আদেশ পালনে। কল্যাণ সম¯—ই তোমার হাতে এবং অকল্যাণ তোমার উপর বর্তায় না। আমি তোমার সাহায্যেই প্রতিষ্ঠিত আছি এবং তোমারই নিকট প্রত্যাবর্তন করব। তুমি মঙ্গলময়, তুমি উচ্চ। আমি তোমার নিকটে ক্ষমা ভিক্ষা চাচ্ছি এবং তোমার দিকে ফিরে যাচ্ছি’ (মুসলিম, মিশকাত, পৃঃ ৭৭, হা/৮১৩)। (৩) আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) যখন ছালাত শুর“ করতেন তখন বলতেন,
উচ্চারণ : সুব্হানাকা আল্ল-হুম্মা ওয়া বিহাম্দিকা ওয়া তাবা-রকাস্মুকা ওয়া তা‘আ-লা- জাদ্দুকা লা-ইলাহা গইরুকু। অর্থ : ‘হে আল্লাহ! প্রশংসা সহকারে তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। তোমার নাম মঙ্গলময় হউক, তোমার নাম সুউচ্চ হউক। তুমি ব্যতীত কোন মা‘বূদ নেই’ (তিরমিযী, আবুদাঊদ, সনদ ছহীহ, আলবানী, মিশকাত, হা/৮১৫ ও ৮১৬-এর টীকা দ্রষ্টব্য, পৃঃ ৭৭)। (৪) ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) যখন রাতে তাহাজ্জুদে দাঁড়াতেন তখন পড়তেন,
উচ্চারণ : আল্ল-হুম্মা লাকাল হামদু আংতা ক্বইয়িমুস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরয¦, ওয়ামাং ফীহিন্না ওয়া লাকাল হামদু আংতা নূর“স সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরয¦, ওয়ামাং ফীহিন্না ওয়ালাকা হামদু আংতা মা-লিকুস সামা-ওয়াতি ওয়াল আরয¦, ওমাং ফীহিন্না ওয়ালাকাল হামদু আংতাল হাক্বক্বু, ওয়া‘দুকাল হাক্বু ওয়া লিক্বা- উকা হাক্বকুন ওয়া ক্বওলুকা হাক্বকুন, ওয়াল জান্নাতু হাক্বকুন, ওয়ান নার“ হাক্বকুন, ওয়ান নাবয়্যুনা হাক্বকুন, ওয়া মুহাম্মাদুন হাক্বকুন, ওয়াস সা‘আতু হাক্বকুন, আল্ল-হুম্মা লাকা আসলামতু ওয়াবিকা আ-মাংতু ওয়া ‘আলাইকা তাওয়াককালতু, ওয়া ইলাইকা আ-নাবতু ওয়াবিকা খা-স্বামতু ওয়া ইলাইকা হাকামতু ফাগফিরলী মা- ক্বদ্দামতু ওয়ামা- আখ্খারতু ওয়ামা- আসরারতু ওয়ামাআ‘লাংতু ওয়ামা- আংতা আ“লামু বিহী মিন্নী, আংতাল মুক্বাদ্দিমু, ওয়া আংতাল মুআ-খখির“, লা-ইলা-হা ইল্লা- আংতা ওয়া লা-ইলা-হা গইরুকু। অর্থ : ‘হে আল্লাহ! সমস্ত প্রশংসা একমাত্র তোমারই জন্য। আসমান, যমীন এবং এদের মধ্যস্থিত যা কিছু আছে সবকিছুর তুমিই অধিকর্তা। প্রশংসা মাত্রই তোমার। আসমান, যমীন এবং এদের মধ্যস্থিত যা কিছু আছে, তুমি সবকিছুর নূর বা জ্যোতি। (হে আল্লাহ!) প্রশংসা মাত্রই তোমার জন্য। আসমান, যমীন এবং উভয়ের মধ্যস্থিত যা কিছু আছে তুমি ঐ সবের প্রতিপালক। (হে আল্লাহ!) প্রশংসা মাত্রই তোমার। আসমান ও যমীনের রাজত্ব তোমার। সকল গুণকীর্তন তোমার জন্যই। তুমি সত্য, তোমার অঙ্গীকার সত্য, তোমার বাণী সত্য, তোমার দর্শন লাভ সত্য, জান্নাত সত্য, জাহান্নাম সত্য, নবীগণ সত্য, মুহাম্মাদ (ছাঃ) সত্য এবং ক্বিয়ামত সত্য। হে আল্লাহ! তোমার নিকটে আত্মসমর্পন করলাম, তোমারই উপর নির্ভরশীল হ’লাম, তোমার উপর দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করলাম, তোমার দিকে প্রত্যাবর্তিত হ’লাম, তোমারই সাহায্যের প্রত্যাশায় শত্র“র বির“দ্ধে যুদ্ধে প্রবৃত্ত হ’লাম এবং তোমাকেই বিচারক নির্ধারণ করলাম। অতএব আমার পূর্বের ও পরের গোপনীয় এবং প্রকাশ্য দুষ্কর্ম সমূহ মাফ করে দাও। তুমি ব্যতীত ইবদতের যোগ্য কোন মা‘বূদ নেই’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত, পৃঃ ১০৭, হা/১২১১ ‘রাতে ছালাতে দাঁড়ানোর সময় কি বলবে’ অনুচ্ছেদ)।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন