আযানের জওয়াব এবং আযান শেষের দো‘আ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 আব্দুল্লাহ ইবনু আমর ইবনে ‘আছ (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেছেন, ‘যখন তোমরা মুআযযিনের আযান শুনতে পাও, তখন সে যা বলে তোমরা তাই বল। অতঃপর আমার উপর দরূদ পাঠ কর। কেননা যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরূদ পাঠ করবে, আল্লাহ তার উপর ১০ বার রহমত বর্ষন করবেন। অতঃপর তোমরা আল্লাহর  নিকট আমার জন্য ওয়াসীলা নামক স্থানটি চাও। কেননা উহা জান্নাতের এমন একটি স্থান, যা আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে একজনের জন্য নির্ধারিত। আমার ধারণা, আমিই সে ব্যক্তি। যে ব্যক্তি আমার জন্য উক্ত স্থান প্রার্থনা করবে, তার জন্য আমার সুপারিশ ওয়াজিব হয়ে যাবে’ (মুসলিম, মিশকাত, পৃঃ ৬৫ পৃঃ হা/৬৫৭ ‘আযানের ফযীলত ও মুয়াযযিনের করণীয়’ অনুচ্ছেদ)। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, মুয়াযযিন যখন ‘হাইয়া ‘আলাছ ছালাহ’ এবং ‘হাইয়া ‘আলাল ফালাহ’ বলবে, তখন শ্রোতাকে ‘লা হাওলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ বলতে হবে (মুসলিম, মিশকাত, পৃঃ ৬৫ হা/৬৫৮)। জাবির (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আযান শুনে বলবে, 

উচ্চারণ : আল্ল-হুম্মা রব্বা হা-যিহিদ্ দা‘ওয়াতিত তা-ম্মাহ ওয়াস্বলা-তিল ক্ব- য়িমাহ, আ-তি মুহাম্মাদানিল ওয়াসীলাতা ওয়াল ফাযীলাহ, ওয়াব্‘আছ্হু মাক্ব-মাম মাহ্:মূদানিল্লাযী ওয়া‘আত্তাহ। 

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! এই পরিপূর্ণ আহ্বান ও প্রতিষ্ঠিত ছালাতের তুমিই প্রভু! মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে অসীলা নামক স্থান ও মর্যাদা দান কর। তুমি তাঁকে সেই দো‘আ অধ্যায় ৩৯ প্রশংসিত স্থানে পৌঁছে দাও, যা তাঁকে প্রদানের ওয়াদা তুমি করেছ।’ তাহ’লে ক্বিয়ামতের দিন তার জন্য আমার শাফা‘আত ওয়াজিব হয়ে যাবে’ (বুখারী, মিশকাত, হা/৬৫৯, পৃঃ ৬৫)। প্রকাশ থাকে যে, আযানের দো‘আতে নিম্নোক্ত দু’টি বাক্য কেউ কেউ বৃদ্ধি করে থাকে। যার কোন ভিত্তি নেই। 

(আলবানী, তাহক্বীক মিশকাত হা/৬৫৯ টীকা নং ২)। সা‘দ ইবনু আবু ওয়াক্কাছ (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মুআযযিনের আযান শুনে বলবে, 

উচ্চারণ : আশহাদু আল্লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহ্:দাহূ লা- শারীকালাহূ ওয়া আন্না মুহাম্মাদান ‘আব্দুহূ ওয়া রসূলুহ, রয্বীতু বিল্লাহি রব্বাঁ- ওয়া বিমুহাম্মাদির রসূলা- , ওয়া বিল ইসলা-মি দ্বীনা-। অর্থ : ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন মা‘বূদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই এবং মুহাম্মাদ (ছাঃ) তাঁর বান্দা ও রাসূল। আমি আল্লাহকে প্রতিপালক হিসাবে, মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে রাসূল হিসাবে এবং ইসলামকে দ্বীন হিসাবে পেয়ে সন্তুষ্ট হয়েছি’ তাহ’লে তার পাপসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে’ (মুসলিম, মিশকাত, পৃঃ ৬৫, হা/৬৬১ ‘আযানের ফযীলত ও মুয়াযযিনের করণীয়’ অনুচ্ছেদ)। 


Related Posts

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Subscribe Our Newsletter