রাতে সূরা কাহাফ পড়লে আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমত অবতীর্ণ হয় (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২১১৮)। যারা সূরা বাক্বারাহ এবং আলে ইমরান তেলাওয়াত করবে তাদের জন্য এ সূরা দু’টি ক্বিয়ামাতের দিন আল্লাহর নিকট সুপারিশ করবে এবং সূরা দু’টি ক্বিয়ামতের মাঠে ছায়া হিসাবে থাকবে (মুসলিম, মিশকাত হা/২১২০)। যে ব্যক্তি শোয়ার সময় আয়াতুল কুরসী পড়বে শয়তান সারা রাত তার নিকটে যাবে না (বুখারী, মিশকাত হা/২১২৩)। যে ব্যক্তি রাতে সূরা বাক্বারাহ্র শেষ দু’আয়াত তেলাওয়াত করবে সে ব্যক্তি সারা রাত বিপদমুক্ত থাকবে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২১২৫)। সূরা এখলাছ কুরআনের তিনভাগের একভাগ অর্থাৎ তিনবার সূরা এখলাছ পাঠ করলে একবার কুরআন তেলাওয়াতের নেকী পাওয়া যাবে। যে ব্যক্তি সূরা মুলক পড়বে ক্বিয়ামতের দিন এ সূরা তার জন্য ক্ষমা হওয়া পর্যন্ত সুপারিশ করতে থাকবে (আহমাদ, তিরমিযী, আবুদাউদ, নাসাঈ, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/২১৫৩)। মুমূর্ষু ব্যক্তির নিকট পঠিতব্য দো‘আ আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) এবং আবু হুরায়রা (রাঃ) যৌথভাবে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমরা তোমাদের মুমূর্ষু ব্যক্তিকে
-এর তালক্বীন দাও’ (মুসলিম, মিশকাত হা/১৬১৫)। মু‘আয ইবনু জাবাল (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যার শেষ বাক্য হবে
সে জান্নাতে যাবে’ (আবুদাউদ, মিশকাত হা/১৬২১ হাদীছ ছহীহ)। রাসুলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা মুমূর্ষু ব্যক্তির নিকটে ভাল কথা বল। কারণ তোমাদের কথার উপর ফেরেশতাগণ আমীন বলেন’ (মুসলিম, মিশকাত হা/১৬১৭)। উল্লেখ্য যে, মুমূর্ষু ব্যক্তির নিকট সূরা ইয়াসীন পড়ার প্রমাণে বর্ণিত হাদীছ নিতান্তই যঈফ (আলবানী, মিশকাত হা/১৬২২-এর টীকা নং ৩)। অনুরূপভাবে মৃত ব্যক্তির নিকটে কুরআন পড়ারও কোন প্রমাণ নেই।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন